রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
Banner

এখনও টাইফয়েডে শিশু মারা যায়, এটি আমাদের লজ্জার : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৯ বার দেখা হয়েছে
আপডেট : October 7, 2025
এখনও টাইফয়েডে শিশু মারা যায়, এটি আমাদের লজ্জার : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

এখনও টাইফয়েডে শিশু মারা যায়, এটি আমাদের লজ্জার এমন মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। তিনি বলেন, ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক রোগ আমরা প্রতিরোধ করেছি। অথচ, টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশু মারা যায়, অঙ্গহানি হয়। দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান শুরু করেছি। আশা করি সফল হবো।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রচার প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম বলেন, আমার ঘরে আমি এটির কোনো লক্ষ্মণ পাইনি। নাতি নাতনি আছে, কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে। কেউ বললো না। তার মানে আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব একটি শিশুও যাতে বাদ না যায়। জন্ম সনদ থাকুক না থাকুক, সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। প্রচার প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা অনেক পথ পার হয়ে এসেছি। এখনও এই টাইফয়েডে মারা যায়, এটা আমাদের জন্য লজ্জার৷ কারণ, এটা তো প্রিভেন্টিভ রোগ। নানাভাবে ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ করলাম আমরা। অথচ, ৭০ ভাগ শিশু টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় বা অঙ্গহানি হয়। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো, আশা করি, আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে পারবো। ইপিআই এর সাফল্য আছে টিকাদানে, এতেও সাফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে শতভাগ শিশুর টিকাদান নিশ্চিত করা৷ মানুষের মধ্যে যাতে ভুল ধারণা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদের মানুষকে বুঝাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের পাশাপাশি মিডিয়ারও ভূমিকা আছে।

স্বাস্থ্যের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের সবচেয়ে সফল কর্মসূচি টিকাদান কর্মসূচি। টাইফয়েডও হয়তো রেগুলার টিকাদান কর্মসূচিতে ঢুকবে৷ আমরা টিকাদানে সক্ষম জনশক্তি বাড়াতে চাই। এজন্য মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী এবং ইন্টার্নদের সংযুক্ত করা যেতে পারে।

স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও আলোচনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক দাউদ মিয়া এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইউনিসেফের দীপিকা শর্মা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রাজেশ নরওয়ানসহ বিদেশি প্রতিনিধি, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের টিকাদান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।

টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে এই টিকাদান শুরু হবে। এটি প্রথমে স্কুল-মাদরাসায়, পরে কমিউনিটিতে এবং বস্তি এলাকায় চলবে। ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়ার টার্গেট। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম যেকোনো শিশু এই টিকা দিতে পারবে। এরইমধ্যে প্রায় দুই কোটি নিবন্ধন করেছেন। টিকাদানের সময় আসলে নিবন্ধনহীন শিশুও পাবে টিকা। তবে, নিবন্ধনে উৎসাহিত করছে কর্তৃপক্ষ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর