দূষিত পানি:
দূষিত পানি পান করলে কিংবা দূষিত পানিতে রান্না করলে পেটে কৃমি হতে পারে। পেটে কৃমি থাকলে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ব্যাহত হতে শুরু করে। শুধু তাই নয়। পেটে কৃমি হলে শিশুর ওজনও হ্রাস পেতে পারে।
আধা সেদ্ধ খাবার:
অনেক সময় ছোটদের দাঁত শক্ত হওয়ার জন্য, তাদের আধা সেদ্ধ সবজি যেমন গাজর, আলু ইত্যাদি খাওয়ানো হয়। এই ধরনের সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিষ্কার না করা হলে সংক্রমণ বাড়তে পারে।
খোলা মাঠ বা পার্কে অনেক শিশু মাটি বা কাদা দিয়ে খেলার ফলেও পেটে কৃমি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাবা-মায়েরা জানেন না কোন প্রাণী বা পাখি পার্কের মাটিতে বা খোলা মাঠে তাদের মল বা প্রস্রাব করেছে। যখন শিশুটি এই কাদায় খেলে এবং নোংরা হাত মুখে দেয়, তখনই পেটে সংক্রমণ সৃষ্টি হয়। আর এই সংক্রমণ অন্ত্রে পৌঁছে পেটে কৃমি সৃষ্টি করে।
আবার অনেকসময়, বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময়, বাবা-মায়েরা সন্তানের হাত সঠিকভাবে ধোয়া হয়েছে কিনা সেদিকে খেয়াল করেন না। হাত না ধোয়া বা ভুলভাবে ধোয়া খাবার খেলেও পেটে কৃমি হতে পারে।
পেটের কৃমি হওয়ার লক্ষণগুলো কী কী?
কৃমি হওয়ার কিছু লক্ষণ হলো-
- শ্বাসকষ্ট
- কাশি
- জ্বর
- আমবাত (বিরল)
- তীব্র পেটে ব্যথা
- পেট ফুলে যাওয়া
- বমি বমি ভাব এবং বমি
- মাঝে মাঝে ডায়রিয়া
- খিদে কমে যাওয়া
- হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
- অস্থিরতা
- ঘুমের সমস্যা ইত্যাদি
এসব লক্ষণ দেখা দিলে এড়িয়ে না চলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসক পরীক্ষা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবেন। সাধারণত, পেটের কৃমির চিকিৎসা ওষুধ দিয়ে করা হয়। শিশুর বয়স ও কৃমির ধরণ অনুযায়ী ওষুধ দেন চিকিৎসক।







